ইলেকট্রনিক্স ছাত্রদের জন্য বেসিক প্রশ্ন ও উওর
ইলেকট্রনিক্স এর বেসিক পর্ব ১ঃ
প্রশ্নঃ
- ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে?
- বিদ্যুৎ কি?
- স্থির বিদ্যুৎ কি ?
- গতি বিদ্যুৎ কি ?
- কারেন্ট কি কত প্রকার ও কি কি ?
- অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে?
- ভোল্টেজ কী, ভোল্টেজভো কিভাবে পাওয়া যায়?
- রেজিস্ট্যান্স কি?
- ক্যাপাসিট্যান্স কি?
- রেকটিফায়ার কি?
- ট্রানজিস্টর, ইমিটার,বেস, কালেক্টর কি?
- অ্যামপ্লিফায়ার কি?
- এনালগ, ডিজিটাল, AVO মিটার কি
প্রশ্নঃ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং কাকে বলে।
উওরঃ ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং হচ্ছে এমন একটা
শাখা যা পরিবাহী, অর্ধপরিবাহী, অপরিবাহী
গ্যাস ও শূন্য মাধ্যম দিয়ে বিদ্যুৎ প্রবাহ সম্পর্কে আলোচনা করা হয় তাকে
ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং বলে।
প্রশ্নঃ বিদ্যুৎ কাকে বলে।
উওরঃ ইলেকট্রনের গতি পথকে বিদ্যুৎ বলে।
অথবাঃ বিদ্যুৎ এমন এক প্রকার শক্তি যা আলো, শব্দ, গতি,
এবং রুপান্তরিত শক্তি ইত্যাদি উৎপন্ন করে
বিভিন্ন বাস্থব কাজ সমাধান করে তাকে বিদ্যুৎ বলে।
বিদ্যুৎ দুই প্রকার
১/ স্থির বিদ্যুৎ
২/ গতি বিদ্যুৎ
স্থির বিদ্যুৎ ঃ যে বিদ্যুৎ সঞ্জক স্থলে আবধ্য থাক,
চলাচল করতে পারে না তাকে স্থির বিদ্যুৎ বলে।
গতি বিদ্যুৎ ঃ যে বিদ্যুৎ সঞ্জয় স্থলে আবধ্য থাকে না
,চলাচল করতে পারে তাকে গতি বিদ্যুৎ বলে।
প্রশ্নঃকারেন্ট কি কত প্রকার ও কি কি ?
উওরঃ পদার্থের মধ্যকার মূক্ত ইলেকট্রনসমূহ কোন নিদিষ্ট
দিকে প্রবাহিত হওয়ার হারকে কারেন্ট বলে। প্রতিক ( I ) আই, একক অ্যাম্পিয়ার সংক্ষেপে A , লেখা হয়। পরিমাপ যন্ত্রের নাম
আম্পিয়ার মিটার।
কারেন্ট দুই প্রকারঃ ১/ এসি কারেন্ট (Alternative
current)
২/ ডিসি কারেন্ট (Direct current )
প্রশ্নঃ অ্যাম্পিয়ার কাকে বলে।
উওরঃ কোন পরিবাহী যে কোন অংশের মধ্যে দিয়ে এক কুলম্ব
চার্জ এক সেকেন্ড সময় ধরে প্রবাহিত হলে
উক্ত পরিমান চার্জকে এক অ্যাম্পিয়ার বলে।
১ কুলম্ব= ৬২৮ইন্টু১০১৬ ইলেকট্রন চার্জ
প্রশ্নঃ ভোল্টেজ কী, ভোল্টেজভো কিভাবে পাওয়া যায়?
উওরঃ পরিবাহীর পরমানুগুলো ইলেকট্রন সমূহকে স্থানচ্যুত করতে যে বল বা চাপের প্রয়োজন তাকে বিদ্যুৎ চালক বল বা
ভোল্টেজ বলে।
ভোল্টেজের প্রতিক ভি এবং একক ভোল্ট ভোল্টেজের পরিমাপ যন্ত্র ভোল্ট মিটার ।
পরিবাহী রেজিস্ট্যান্স ও এর মধ্য দিয়ে প্রবাহিত কারেন্টের
গুনফল হল ভোল্টেজ।
অর্থাৎ V=IR
রেজিস্ট্যান্সঃ পরিবাহীর মধ্যে দিয়ে কারেন্ট প্রবাহের
সময় পরিবাহী পদার্থের যে ধর্মের কারনে তা বাধা গ্রস্ত হয় তাকে রেজিস্ট্যান্স বলে।
প্রতিক আর একক ওহম
ক্যাপাসিট্যান্স কীঃ ক্যাপাসিটরের প্লেটগুলোর মধ্যে কোন
বিভব পার্থক্য থাকলে প্লেটগুলো বৈদ্যুতিক শক্তি স্নচ্য করে চার্জ ধরে রাখে
ক্যাপাসিটরের এই ধর্ম বা বৈশিষ্ট কে ক্যাপাসিট্যান্স বলে ।
প্রতিক সি ,একক ফ্যারাড বা মাইক্রোফ্যারাড। পরিমাপ
যন্ত্র ওহম মিটার বা ক্যাপাসিট্যান্স মিটার।
রেকটিফায়ারঃ যে ডিভাইসের সাহায্যে এসিকে ডিসিতে
রুপান্তরীত করা যায়,তাকে রেকটিফায়ার বলে।
জিনার ডায়োডঃ যে ডায়োডে একটি সুক্ষ্ম ব্রেক ডাউন ভোল্টেজ
থাকে তাকে জিনার ডায়োড বলে।
ট্রানজিস্টরঃট্রানজিস্টর তিন টার্মিনাল বা তিন স্তর বিশিষ্ট
একটি ডিভাইস যার ইনপুটে কোন ইলেকট্রিক্যাল সিগনাল প্রয়োগ করলে আউটপুটে তা বর্ধিত
আকারে পাওয়া যায় তাকে ট্রানজিস্টর বলে।
ট্রানজিস্টর তিন স্তর বিশিষ্ট ডিভাইসঃ
১/
ইমিটার
২/ বেস
৩/
কালেকটর
বেসঃ ইমিটার ও কালেকটরের মধ্যের স্তর কে বেস বলে।
কালেকটরঃ ট্রানজিস্টরের যে অংশে ইলেকট্রন বা হোল সংগ্রহ
করে তাকে কালেকটর বলে।
লোড লাইনঃ ট্রানজিস্টরের কাট অফ পয়েন্ট এবং সেচুরেশন পয়েন্টের সংযোগ রেখাকে লোড লাইন বলে।
অ্যামপ্লিফায়ারঃ যে ডিভাইস বা সার্কিটে ইমপুটে ছোট সিগনাল প্রয়োগ করে আউটপুটে বড় আকারে পাওয়া
যায় তাকে অ্যামপ্লিফায়ার বলে।
এনালগ সিগনাল ঃ যে সিগনাল সময়ের সাথে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে
পরিবর্তিত হতে পারে তাকে এনালগ সিগনাল বলে।
ডিজিটাল সিগনালঃ যে সিগনালের দুটি অবস্থা থাকে এবং একটি থেকে
অন্য অবস্থায় যেতে কোন সময়ের প্রয়োজন হয়
না তাকে ডিজিটাল সিগনাল বলে।
AVO মিটারঃ যে বৈদ্যুতিক পরিমাপক যন্ত্রের সাহায্যে
কারেন্ট ,ভোল্টেজ ও রোধ পরিমাপ করা যায় তাকে মাল্টিমিটার বা avo মিটার বলে।
So useful thank a lot
ReplyDelete