ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এর প্রাথমিক ধারণাঃ

ইলেকট্রনিক্স সার্কিট এর প্রাথমিক  ধারণাঃ 



ইলেকট্রনিক্স হল, বিজ্ঞানের সেই শাখা যেখানে ইলেকট্রিক্যাল কম্পোনেন্ট (যেমন, রেসিস্টর, ডায়োড, ট্রানসিস্টর ইত্যাদি) নিয়ে কাজ করা হয়।

বেসিক ইলেকট্রনিক্স এর ধারণাঃ
পদার্থকে দুই ভাগে ভাগ করা যেতে পারে, ১. ধাতু (যেমন লোহা, তামা এগুলো) ২. অধাতু(যেমন কাঠ, প্লাস্টিক এগুলো)| মজার ব্যাপার হল সব পদার্থতেই ইলেকট্রন নামে একটা জিনিস আছে, যেটা সবসময় পজিটিভ চার্জের কাছে যেতে চায়।
কিন্তু অধাতুতে ইলেকট্রন স্কুলের স্যারেরা অনেক কড়া, তাই কোন পসিটিভ চার্জের সন্ধান পেলেও ইলেকট্রনকে যেতে দেয় না।

ধাতুতে তার উলটো। মানে ইলেকট্রন এখানে অনেকটা স্বাধীণ। যখনই কোন পসিটিভ চার্জ চলে আসে তখনই দল বেঁধে কিছু দুষ্ট ইলেকট্রন সেদিকে চলতে থাকে। অনেকটা স্কুল পালানো ছেলেদের ঝাঁকের মত।
এই ইলেকট্রনের প্রবাহই আসলে বিদ্যুৎ প্রবাহ। ভাল করে বললে, নেগেটিভ ইলেকট্রন এর পসিটিভ চার্জের প্রতি আকর্ষণের ফলে সৃষ্ট ইলেকট্রনের প্রবাহই বিদ্যুৎ প্রবাহ বা কারেন্ট।
তাহলে ভোল্টেজ কি? ভোল্টেজ বা বিভব হল ইলেকট্রনের সাথে পসিটিভ চার্জের আকর্ষণের তীব্রতা। পসিটিভ চার্জ যত বেশী, ইলেকট্রনের আকর্ষণ তত তীব্র, ভোল্টেজ তত বেশি।

এবার আসা যাক রোধ বা রেসিস্টেন্স নিয়ে। ইলেকট্রন যখন স্কুল পালাতে চায়, তখন ইলেকট্রনের স্যারেরাও বাধা দিতে চায়। কোন কোন স্কুলে স্যারেরা খুউউব কড়া, যাতে একটা ইলেকট্রনও পালাতে পারে না। আবার কোনটাতে স্যার খালি ঘুমান, তাই প্রায় সব ইলেকট্রন দলবেঁধে সিনেমা দেখতে যায়। কোন যায়গায় স্যার আবার মাঝারি রকমের কড়া, তাই পিছনের বেঞ্চে থাকা ইলেকট্রনগুলো দে ছুট!

আসলে অধাতুতে ইলেকট্রনের স্যারেরা খুব কড়া। তাই বেচারা ইলেকট্রন গুলো যেন কিছুতেই পসিটিভ চার্জের কাছে যেতে পারে না। আর তার উল্টো হল ধাতু। এখানে স্যারেরা অল্প কড়া, তাই ইলেকট্রনও পসিটিভ চার্জের কাছে দে ছুট!
পদার্থের যে ধর্মের কারণে ইলেকট্রনের প্রবাহ বাধা পায়, সেটাকে রোধ বা রেসিস্টেন্স বলে। মানে যেটাকে আমরা কড়া স্যারের সাথে তুলনা করেছি সেটা!
এই লেকচার এখানেই শেষ!
?

??

???

????

?????

??????
যারা একটু বেশি জেনে সবার সেরা হতে চায় তাদের জন্যে-
চুপি চুপি বলি, কাউকে বল না, কেমন! ভোল্টেজ, কারেন্ট আর রেসিস্টেন্স এই তিন এর মধ্যে কিন্তু একটা সম্পর্ক আছে। একটা সমীকরণ, যেটা তোমার সব সময় কাজে দেবে। সেটা হল-
ভোল্টেজ = কারেন্ট X রেসিস্টেন্স
V=IR
অথবা
কারেন্ট = ভোল্টেজ / রেসিস্টেন্স
I=V/R
অথবা
রেসিস্টেন্স = ভোল্টেজ / কারেন্ট
R=V/I
মজার ব্যাপার কি জানো? সমান চিহ্নের ডানের দুটো জানা থাকলে বাম পাশেরটাকে সহজে বের করা যায়।
-

1 comment:

Powered by Blogger.